এইচ এম সালেহ আহমদ,সৌদি আরব প্রতিনিধি ঃ
প্রাণের শহর মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম দেশ সৌদি আরবে করোনা মহামারির মধ্যেও সিনেমার টিকিট বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ৬০৫ শতাংশ প্রায়।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে সিনেমার টিকিট ক্রয়বাবদ সৌদি নাগরিকরা ব্যয় করেছিলেন প্রায় ২০ লাখ ডলারের অধিক। আর ২০২১ সালে এই ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৪৮ লাখ ডলার।
শতকরা হিসেবে তিন বছরে এই বৃদ্ধির হার ২ হাজার ৬০৫ শতাংশ।
বিশেষ কট্টর ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ২০১৮ সালের আগ পর্যন্ত কোনো সিনেমা হল ছিল না সৌদি আরবে। বহুসংখ্যক মানুষ এক জায়গায় সমবেত হয়ে সিনেমা দেখবেন— এমন সুযোগও ছিল না সৌদি আরবে।
বর্তমান সৌদি আরবের বাদশাহ যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দেশের ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার পর ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো সিনেমা হলে গিয়ে ফিল্ম দেখার সুযোগ হয় সৌদি আরবের পুরুষ মহিলা সহ সকল নাগরিকদের। প্রথম যে ফিল্মটি প্রদর্শিত হয়েছিল সৌদিতে, সেটির নাম ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’। রাজধানী রিয়াদের এমসি থিয়েটারে দেখানো হয়েছিল হলিউড জায়ান্ট মারভেল পিকচার্সের এই সিনেমাটি প্রকাশিত হয়।
এদিকে, সিনেমা প্রদর্শন বাণিজ্যের এই রমরমা পরিস্থিতি থাকায় সৌদি আরবের প্রায় সর্বত্র গড়ে উঠছে সিনেমা হল। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটিতে সিনেমা হলের সংখ্যা ৫৪টি। এসব নতুন হল নির্মাণ করা হয়েছে ২০২০ ও ২০২১ সালে।
সিনেমা হল নির্মাণের পাশাপাশি নিজস্ব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি গঠনেও মনযোগ দিয়েছে সৌদি আরব। বড় আকারের চলচ্চিত্র উৎসবও আয়োজন করছে সৌদি আরব দেশটি।
উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, ২০১৯ সালে জেদ্দা’য় রেড সি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আয়োজন। সেই উৎসবে বাইরের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি সৌদি আরবের চলচ্চিত্রও প্রদর্শিত হয়েছিল।