কাজী মোস্তফা রুমি, সহ-বার্তা সম্পাদক:
১৫ আগস্ট জাতীয় শোকের দিন। বাংলার আকাশ-বাতাস আর প্রকৃতি ও অশ্রুসিক্ত হওয়ার দিন। কেননা পঁচাত্তরের এই দিনে আগস্ট আর শ্রাবণ মিলেমিশে একাকার হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রুর প্লাবনে।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সুবেহ সাদিকের সময় যখন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে বুলেটের বৃষ্টিতে ঘাতকরা ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল, তখন যে বৃষ্টি ঝরছিল, তা যেন ছিল প্রকৃতিরই অশ্রুপাত। ভেজা বাতাস কেঁদেছে সমগ্র বাংলায়। ঘাতকদের উদ্যত অস্ত্রের সামনে ভীতসন্ত্রস্ত বাংলাদেশ বিহ্বল হয়ে পড়েছিল শোকে আর অভাবিত ঘটনার আকস্মিকতায়। কাল থেকে কালান্তরে জ্বলবে এ শোকের আগুন। ১৫ আগস্ট শোকার্ত বাণী পাঠের দিন, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী।
তাই জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আজ ১৬ই আগস্ট রোজ মঙ্গলবার বিকেল ৫ ঘটিকার সময় ধুবড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ধুবড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অদ্যকার আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ হোসেন চঞ্চল।
আজকের এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আসন অলংকৃত করেন নাগরপুরের কৃতি সন্তান, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী নেতৃবৃন্দদের ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল, উদীয়মান ব্যক্তিত্ব, মেধাবী নেতৃত্ব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সিপাহসালার বিশ্বস্ত সৈনিক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার নির্বাচিত বিপ্লবী সংগ্রামী সফল সভাপতি জননেতা আলহাজ্ব জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আসন অলংকৃত করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার বিপ্লবী সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক, নাগরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তথা নৌকা মার্কার মনোনীত প্রথম তিন তিনবারের একমাত্র নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার বিপ্লবী সংগ্রামী সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার সাবেক আহবায়ক, বর্তমান সময়ে নাগরপুর উপজেলায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে জননেতা মোঃ কুদরত আলী।
উক্ত আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার বিপ্লবী সংগ্রামী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, একসময়ে তুখোর সাবেক ছাত্রনেতা নাজমুল হক তপন এবং উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য মোঃ আওলাদ হোসেন লিটন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক সফল ভিপি ও নাগরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের বিপ্লবী সংগ্রামী সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আল মামুন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: মতিয়ার রহমান, ধুবড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অন্যতম নেতা মোঃ সেন্টু মিয়া সহ উক্ত আলোচনা সভায় নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ, ধুবড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও ধুবড়িয়া ইউনিয়নে অবস্থিত বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা সভায় সকল নেতৃবৃন্দ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন আদর্শ এবং ১৫ ই আগস্টে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার ঘটনা তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেন।
এ সময় আলোচনার সভার বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার বিপ্লবী সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক, নাগরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত বারবার নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান মো: কুদরত আলী বলেন,
“জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, শ্রেষ্ঠ নেতা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাটি জীবন বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছেন। তিনি তাঁর জীবনের সুখ দুঃখ ত্যাগ না করলে হয়তোবা আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনতে পারতাম না। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বাংলাদেশের কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য ও উচ্চাভিলাষী রাজনৈতিক কুচক্রের কারণে ১৫ ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও উপস্থিত তাঁর পরিবারের সকল সদস্যসহ আরো অনেকেই বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যার শিকার হন। আমরা বাঙালি হিসেবে লজ্জিত বিবেকের কাছে পরাজিত।
আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই, আজকের দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর পরিবারের যে সকল সদস্য ১৫ আগস্টে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন তাদের সকলের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করছি।”
এরপরে আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার বিপ্লবী সংগ্রামী সফল সভাপতি জননেতা আলহাজ্ব জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম বলেন,
“জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আমরা তাঁর ঋণ কোনদিনই শোধ করতে পারবো না। কিন্তু দুঃখের বিষয় কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য এবং রাজনৈতিক কুচক্রের কারণে তিনি নির্মমভাবে সপরিবারে নিহত হয়েছেন।
আর এই হত্যার বিচার বাধাগ্রস্ত করার জন্য ইনডোমিনিটি অধ্যাদেশ জারি করে আরেকটি কলঙ্কের ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল বাংলার বুকে।
পরবর্তীতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করলে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বাংলার মাটিতে সংগঠিত হয়ে কয়েকজনের রায় কার্যকর হয়েছে।
আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁর ও তার পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করছি।”
পরবর্তীতে আজকের এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা সভার শেষ হয়।
এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায়, দেশ ও জাতির কল্যাণে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্য কামনা করে সকলকে সাথে নিয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।