শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে নাগরপুর উপজেলা বিএনপি’র সাংবাদিক সম্মেলন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী নাগরপুরে শহীদ ক্যাডেট স্কুলে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নাগরপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ “জনতার সময়” অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক হলেন কাজী মোস্তফা রুমি ডুমুরিয়ায় ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে সি‌লেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ড‌শীপ ফাউ‌ন্ডেশনের মে‌ডি‌কেল ক্যাম্প অনু‌ষ্ঠিত জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী ৭ জন আইওআই(IOI) তে বাংলাদেশের প্রথম স্বর্ণ পদক লাভ করেছেন সিলেটের দেবজ্যোতি দাস সৌম্য

খালাস পেয়েও ৭ বছর ধরে কনডেম সেলে:বিচারিক তদন্তের নির্দেশ

চ্যানেল ওয়ান বিডি ডেক্সঃ

চট্টগ্রামে একটি হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে বেকসুর খালাস পাওয়ার পরও সাত বছর ধরে কনডেম সেলে থাকার ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৫ আগস্ট হাইকোর্টের রেজিস্টারের মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত এক আবেদন শুনানি নিয়ে আজ রোববার (৭ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো.বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।

গত বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তখন আদালত এ বিষয়ে লিখিত আকারে আবেদন করার পরামর্শ দেন। এর আগে গত ৩ আগস্ট বিনা দোষে কারাগারে কনডেম সেলে ৭ বছর! শিরোনামে অনলাইন গণমাধ্যম বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়,চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার জানে আলম হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন আবুল কাশেম। তার খালাস পাওয়ার আদেশ যথাসময়েই উচ্চ আদালত থেকে পৌঁছেছে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। কিন্তু আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেনি ৭ বছর ৩ মাস ১১ দিনও।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়,একটি মামলায় ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত হাজিরা দিতে আসলে আবুল কাশেমকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠান। সেই দিন থেকে কারাগারের কনডেম সেলে আছেন আবুল কাশেম। তিনি লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ার বেলায়েত আলীর ছেলে।

আদালত সূত্র জানা যায়,২০০২ সালের ৩০ মার্চ রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ায় জানে আলেম হত্যা মামলার আসামি ছিলেন আবুল কাশেম। লোহাগাড়া থানার মামলা নম্বর ২১ (৩১.০৩.২০০২) ও দায়রা নম্বর ৩০৮/২০০৪।

এ মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই আবুল কাশেমসহ ১২ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৮ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

রায় ঘোষণাকালে আবুল কাশেম পলাতক ছিলেন।

এরপর নিয়মানুযায়ী ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য মামলার নথি আসে হাইকোর্টে। যার ডেথ রেফারেন্স মামলা নম্বর ৫৪/২০০৭। গত ২০১৩ সালের ১১ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও শহীদুল করিমের বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স শুনানিতে আসামি আবুল কাশেমকে খালাস দেন।

সূত্রঃ লইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ



Our Like Page