ফারহানা বেগম হেনা ঃ
প্রকৃতি কন্যা নামে খ্যাত আমাদের এই সিলেট বিভাগের আনাচে-কানাচেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য। আর সুন্দর্য প্রেমীরা সুযোগ পেলেই ছুটে চলে যান সেই নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে। তাই তো বাংলার এই অপরুপ সৌন্দর্য দেখার জন্য প্রকৃতি প্রেমিরা খুঁজে বেড়ান নতুন নতুন কোন সৌন্দর্যে ঘেরা সবুজ সমারোহে সুনিবিড় মনোমুগ্ধকর কোন স্থানকে। তেমনি একটি স্থান হচ্ছে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানের বাম্বোতল লেক। সুযোগ পেলে দেখে আসতে পারেন সেই অপার সৌন্দর্যে ঘেরা বাম্বোতল লেকের অপরুপ সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক দৃশ্য।
সুনীল আকাশের নিচে গাঢ় সবুজ উঁচু নিচু পাহাড় দেখে মনে হবে যেনো কোন শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবি। মন মাতানো মনোরম চা বাগানের দৃশ্য দেখলে যে কেউ মনের গহিনে হারিয়ে যাবে আপন মনে। চারদিকে সুউচ্চ পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের মিরতিংগা চা বাগানে অবস্থিত এই বাম্বোতল লেকটি।
বাম্বোতল লেকটি সত্যি খুবই অপূর্ব। লেকের ঝলমল জল,ছায়া সুনিবিড় পরিবেশ,শাপলা-শালুকের উপস্থিতিতে আরো বেশি মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে এখানকার পরিবেশকে।
এই লেকটি কমলগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার ভিতরে। অপার সৌন্দর্যের এই লীলাভূমির কথা অনেকেই না জানার কারণে এখনো কোন পর্যটকদের ছোঁয়া লাগেনি এই লেকটিতে। লেকটি দেখলে মনে হয় যেনো প্রকৃতির মাঝে লুকিয়ে থাকা অপরুপ সৌন্দর্যে সবুজ সমারোহে নিরবে তার সৌন্দর্যকে প্রকৃতির কাছেই তুলে ধরেছে। এ যেনো এক অপরুপ ঝলমলে সৌন্দর্যের দৃশ্য।
লেকের চারিপাশে উঁচু উঁচু টিলা। চায়ের গাছ এবং সবুজ ছায়াবৃক্ষ গাছের সারি। এরই মাঝে একঝাঁক পাখি তাদের সুরের মুর্চ্ছনা দিয়ে সুনীল আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে। গাঢ় সবুজ পাহাড়, শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মত চা বাগানের মনোরম দৃশ্য দেখে যে কারোর মনকে উত্তলা করে তুলবে এবং নিয়ে যাবে ভিন্ন এক জগতে। এক কথায় বাম্বোতল লেক যেন প্রকৃতির নিজ হাতে আঁকা মায়াবী এক নৈসর্গিক দৃশ্য।
পড়ন্ত বিকেলে বাম্বোতল লেকটি ঘুরে দেখার মজাই আলাদা। চা বাগানের গভীর অরণ্যে ছায়াঘেরা এই লেকটি যেন আপন মহিমায় যেনো সাজিয়েছে প্রকৃতিকে। সবুজ সমারোহ চারিদিকে চায়ের উঁচু টিলার মধ্যে মানুষের অগোচরে থাকা লেকটি দেখতে সত্যিই খুবই অপরূপ লাগে। যখন মনে ক্লান্তি আসে মন ছুটে যেতে চায় কোন প্রকৃতির কাছে তখন এই প্রকৃতিতে এসে এই লেকের পরশে ক্লান্তি দূর করে মনকে সতেজ করে প্রশান্তি খুঁজে পেতে পারেন। তাই তো অবসরে সুযোগ পেলেই এই লেকটিতে ঘুরে আসতে পারেন।
বিশেষ করে পড়ন্ত বিকেল বেলা সবুজ প্রকৃতির মাঝে এই লেকে অবস্থান করে নিশ্বাস প্রশ্বাস নেয়া যেতে পারে নির্বিঘ্নে। যদিও এটি এখনো পর্যটন স্থান হিসাবে বিবেচিত হয়নি। এখনো পর্যটকরা জানেন না যে এখানে এতো চমৎকার একটি লেক আছে। নতুন করে আবিস্কার হল এই বাম্বোতল লেকটি। তাই আপনিও ঘুরে আসতে পারেন উপভোগ করতে পারেন এখানকার চা শ্রমিকদের জীবনমান ও ছায়া ঘেরা সবুজের মাঝে লুকিয়ে থাকা বাম্বোতল লেকের অপরুপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য।