সিলেটে এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০ হাজার মানুষ – Channel One BD
মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ১২:৫০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
টাঙ্গাইল নাগরপুরের বেলতৈলে ফুটবল ফাইনাল টুর্নামেন্ট’২৫ অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত সময় পার করলেন জননেতা মোঃ শরীফুল ইসলাম স্বপন বানিয়াচং উপজেলায় দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় উসমান নামের একজন গ্রেফতার মিশিগানে ঈদ সাবেক তালামীযের দায়িত্বশীল নিয়ে ঈদ পূর্ণমিলনীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা আপনাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও আনন্দের ঘনঘটা- ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ঈদুল আযহা কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি আত্মত্যাগের প্রতীক- জননেতা মোঃ হাবিবুর রহমান হবি পবিত্র ঈদুল আযহা সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ শান্তি ও আনন্দের ঘনঘটা- জননেতা মীর আবুল কালাম আজাদ রতন পবিত্র ঈদুল আযহার কোরবানির এই ত্যাগের মাধ্যমে প্রিয় বাংলাদেশ থেকে মুছে যাক সকল অপশক্তি – জননেতা মোঃ মাইনুল আলম খান কনক ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত পবিত্র ঈদুল আযহা সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও আনন্দের ঘনঘটা – জননেতা মোঃ শরীফুল ইসলাম স্বপন মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আযহা- জননেতা মোঃ আতিকুর রহমান আতিক

সিলেটে এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০ হাজার মানুষ

চ্যানেল ওয়ান বিডি ডেক্সঃ

সিলেট জেলার ৬০৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও প্রায় ৫০ হাজার বন্যার্ত মানুষ রয়েছেন। এর মধ্যে নগরীর আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ৭ হাজার ৫০৭ জন এখনও রয়েছেন। সরকারি হিসাবে পুরো জেলায় সব মিলে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৯ হাজার ৭৭২ জন বন্যার্ত মানুষ রয়েছে। এ ছাড়া এক হাজার ২৬৫টি গবাদি পশু রয়েছে এখানে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজারের মতো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরেছেন। যারা এখনও ফিরতে পারেনি, তারা ঘরে ফেরার অপেক্ষা করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় বসে আছেন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, রোববার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও প্রায় ৫০ হাজার মানুষ অবস্থান করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আশ্রিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়। সেখানে মোট ৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ৭ হাজার ৭৪০ জন বানভাসী।

এরপরেই অবস্থান সিলেট সিটি করপোরেশনের। মহানগরীর মোট ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে আছে ৭ হাজার ৭৪০ জন। সিলেট শহরতলীর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৭৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ৬ হাজার ২৪২ জন বানভাসি। সিলেট সদরে বর্তমানে ৩৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে আছে ৫৩৮ পরিবারের প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন।

এর বাইরে বিয়ানীবাজার উপজেলার মোট ৭৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে বানভাসি মানুষের সংখ্যা ৬ হাজার ৯৭৮ জন। বালাগঞ্জে ৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে আছে ৪ হাজার ৯৮৩ জন, এ ছাড়া গোলাপগঞ্জে মোট ৪৮ আশ্রয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৯৮৫, কোম্পানীগঞ্জে পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ হাজার ৮৯৫, ফেঞ্চুগঞ্জে ২০টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৪৩২, গোয়াইনঘাটে ১৩ আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৮০ জন, জৈন্তাপুরের ১৩ আশ্রয়কেন্দ্রে ১ হাজার ৫০৪, কানাইঘাটে ৪৭ আশ্রয় কেন্দ্রে মোট ২ হাজার ৫৭ ও জকিগঞ্জের ৫৬ আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ হাজার ৪৫৬ জন বানভাসি অবস্থান করছেন।

বানভাসি মানুষের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিপুল ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত আছে। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্ষম আরও সুশৃঙ্খল করতে এবং ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় আলাদা সমন্বয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গত শনিবারের মধ্যে এ কমিটি করার জন্য সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, সংশ্নিষ্ট জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয় কমিটির কাজ তদারকি করবে।



Our Like Page