বিশ্বনাথ প্রতিনিধি ঃ
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ও পীরের বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি মাসুক মিয়ার বাড়ির ঘর, দেয়াল ও গেইট ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। মাসুক মিয়ার বাড়ি বর্নি গ্রামে তিনি মৃত জমির আলীর ছেলে।
তিনি একটি হত্যা মামলার আসামি এবং বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন। এই সুযোগে তৃতীয় একটি পক্ষ বাড়ি ঘর ভাংচুরসহ তাদের ভীটে মাটি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে।
সরেজমিনে, মাসুক মিয়ার স্ত্রী জেছমিন বেগম জানান, দীর্ঘ দিন ধরে একই গ্রামের বাসিন্দা জামাত নেতা ও স্থানীয় জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম বরুনী মাদ্রাসার মুহতামিম লন্ডন প্রবাসি মাওলানা নজির মিয়ার সাথে রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে তাদের।
তিনি বলেন তার স্বামী মাসুক মিয়া একজন আওয়ামীলীগের সক্রিয় নেতা ছিলেন। এই কারনে নজির মিয়া আমার স্বামীসহ বেশ কয়েক জনকে একটি পরিকল্পিত হত্যা মামলার আসামি করে। এই হত্যা মামলায় আমার স্বামী কারাগারে থাকায় বাড়িটি পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। এই সুযোগে নজির মিয়া গত ৩জুন রাতে তার লোকজন দিয়ে হামলা করে বসত ঘরের দেয়াল ভাংচুর করে ঘরে ঢুকে প্রায় ৫ভরি র্স্বণালংকার ও নগদ প্রায় ৮০হাজার টাকা লুট করে নেয়। ঘটনার পরদিন মাসুক মিয়ার স্ত্রী জেছমিন বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ বিষয়টি আমলে নেয়নি। ফলে ১০জুন আবারও মাদরাসার সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে মাদরাসার পাশে থাকা তাদের বাড়ির প্রধান গেট ও দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়। তাছাড়া মাদরাসার বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এই গেটের ফিলারের রডও কাটা হয়।
জেছমিন আরো বলেন, নজির মিয়া লন্ডনে অবস্থান করলেও তার ভাড়াটিয়া বরুনী গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মুক্তার খান (৫৫) ও তার দুই ছেলেসহ গ্রামের প্রায় ১৫/২০জনকে নিয়ে এই ভাংচুর করেন। তবে এই বিষয়ে মুক্তার খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই হামলার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
মাদরাসার শিক্ষা সচিব হাফিজ মাওলানা শরিফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার দু’দিন পূর্বে সড়কের পাশের দুটি সিসি ক্যামেরার লাইন কেবা কাহারা কেটে দিয়েছিল। ঘটনার একদিন পর তিনি সিসি ক্যামেরা চালু করেছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পাওয়া মাত্র তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।