আলিজা বিনতে আশরাফ: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন।
শিক্ষার্থীদের ইংরেজি বিষয়ের প্যারাগ্রাফ “Load shedding” এর শুরুতেই রয়েছে – Load shedding is a common issue in our daily lives, affecting many people across Bangladesh. It occurs when the demand for electricity exceeds the available supply, leading to power outages. বর্তমানে প্যারাগ্রাফের এই প্রথম অংশের সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলাবাসীর দৈনন্দিন জীবন। গরমের তীব্রতায় লোডশেডিং নামক এক আতঙ্কের সম্মুখীন হচ্ছে নাগরপুরবাসী। ফলে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সকল ডিজিটাল সুবিধা।
টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুত সমিতি নাগরপুর জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, জোনাল অফিসের আওতায় নাগরপুরের দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৮ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে গতকাল থেকে সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ৯ থেকে ১০ মেগাওয়াট, যার পরিপ্রেক্ষিতে দিনরাত মিলে প্রায় ২০ থেকে ২৫ বারেরও বেশি লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে সারা উপজেলা। এতে করে চরম বিপাকে শিশু সহ বয়স্ক ব্যক্তিরা। পাশাপাশি এসএসসি পরীক্ষা চলমান। লোডশেডিং এর কারণে পরীক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়।
এবিষয়ে নাগরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জোনাল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিজিএম মোঃ শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন – বর্তমানে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় এরকম লোডশেডিং চলছে। আশাকরি গরমের তীব্রতা কিছুটা কমে আসলে অথবা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের সরবরাহ ঠিক হলে অতি দ্রুত এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, ইনশাআল্লাহ্।
অতি দ্রুত বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এই লোডশেডিং এর ভয়াবহ অবস্থা হতে মুক্তি পাওয়াই এখন নাগরপুর উপজেলাবাসীর একমাত্র চাওয়া।