শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে নাগরপুর উপজেলা বিএনপি’র সাংবাদিক সম্মেলন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী নাগরপুরে শহীদ ক্যাডেট স্কুলে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নাগরপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ “জনতার সময়” অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক হলেন কাজী মোস্তফা রুমি ডুমুরিয়ায় ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে সি‌লেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ড‌শীপ ফাউ‌ন্ডেশনের মে‌ডি‌কেল ক্যাম্প অনু‌ষ্ঠিত জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী ৭ জন আইওআই(IOI) তে বাংলাদেশের প্রথম স্বর্ণ পদক লাভ করেছেন সিলেটের দেবজ্যোতি দাস সৌম্য

স্মার্টফোনের ছোঁয়ায় শিশু-কিশোররা হারাচ্ছে তাদের সোনালি সময়

মো.মারুফ আহম্মেদ বাঁধন

স্মার্টফোন! যেমন রয়েছে এর নানাবিধ সুবিধা ঠিক তেমনই রয়েছে অসুবিধা। আজকাল স্মার্টফোন এর সহজলভ্যতায় শিশু-কিশোররা হারাচ্ছে তাদের শৈশবের-কৈশরের প্রকৃত আনন্দ। একটু ভেবে দেখুন তো আজ থেকে ৫ বছর আগেও কি স্মার্টফোনের ব্যবহার এতো ছিল? ছিল না, সেইসাথে ৫ বছর আগের একটা খেলার মাঠের কথা কল্পনা করে দেখেন তো, কী দেখতে পাচ্ছেন? নানান বয়সের শিশু-কিশোরদের কোলাহল। একটা সময় ছিলো যখন প্রাইমারি স্কুল অথবা মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ থেকে তাড়িয়ে বাসায় আনা যেত না।

আর এখন সেই একই বয়সের শিশু-কিশোরদের বাড়ি থেকে বের করা যায় না। যেই খেলার মাঠগুলো একসময় ছিলো কোলাহলপূর্ণ এখন সেইসব মাঠ শুধুই গবাদিপশুর চারণভূমি। বয়সের যেই সময়টাতে একজন কিশোরের দরকার ছিল খেলাধুলা করার সে এখন খেলাধুলা না করে এক স্মার্টফোন নিয়ে বসে আছে তার ঘরের কোনায়। এমনকি অনেক মা আছেন যারা তাদের অজান্তেই তাদের আদুরে ছেলেটাকে ঠেলে দিচ্ছে এই স্মার্টফোন নামক অভিশাপের দিকে।এমনও চিত্র লক্ষ্য করা যায় মা তার দুই বছর বয়সের শিশু কে খাবার খাওয়ানোর জন্য স্মার্টফোনে কার্টুন অথবা অন্য কোনো প্রামাণ্যচিত্র দেখাচ্ছে। ধীরে ধীরে এই স্মার্টফোন দেখিয়ে খাবার খাওয়ানো টা একটা অভ্যাস এ পরিণত হয়ে যাচ্ছে যার ফলে এখন অনেক শিশু আছে যারা স্মার্টফোন ছাড়া খেতে চায় না।

আমরা সবাই জানি অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করা মানসিক অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর সেটা যদি হয় শিশু-কিশোরদের বেলায় তখন তো আর কিছু বলার ভাষা’ই থাকে না। স্মার্টফোনের ফলে নানাদিক থেকে আমাদের শিশু-কিশোররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যেমন-অনলাইন গেমিং এ আসক্ত হয়ে পড়া,পড়ালেখায় মনযোগ না দেয়া এমনকি পর্নোগ্রাফি তেও ঝুকে পড়ছে অনেকে। আর এসব হচ্ছে স্মার্টফোন এর ভয়ানক চিত্র। যদি এখন থেকেই সতর্ক না হওয়া যায় তাহলে ভবিষ্যতে এর পরিণাম আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। আমাদের সবার দায়িত্ব যার যার জায়গা থেকে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। আমরা চাই আমাদের কোমলপ্রাণ শিশুরা এই অভিশাপ থেকে দূরে সরে এসে আবারও মাঠে খেলাধুলা করবে আবারও মাঠ গুলো কোলাহলপূর্ণ হবে।

মো.মারুফ আহম্মেদ বাঁধন
শিক্ষার্থী, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়



Our Like Page