সেরা জননী আমিনা খাতুন – Channel One BD
বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে যাত্রী হয়রানি বন্ধে বরগুনায় যৌথ বাহিনীর অভিযান  টাঙ্গাইল নাগরপুরের বেলতৈলে ফুটবল ফাইনাল টুর্নামেন্ট’২৫ অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত সময় পার করলেন জননেতা মোঃ শরীফুল ইসলাম স্বপন বানিয়াচং উপজেলায় দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় উসমান নামের একজন গ্রেফতার মিশিগানে ঈদ সাবেক তালামীযের দায়িত্বশীল নিয়ে ঈদ পূর্ণমিলনীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা আপনাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও আনন্দের ঘনঘটা- ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ঈদুল আযহা কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি আত্মত্যাগের প্রতীক- জননেতা মোঃ হাবিবুর রহমান হবি পবিত্র ঈদুল আযহা সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ শান্তি ও আনন্দের ঘনঘটা- জননেতা মীর আবুল কালাম আজাদ রতন পবিত্র ঈদুল আযহার কোরবানির এই ত্যাগের মাধ্যমে প্রিয় বাংলাদেশ থেকে মুছে যাক সকল অপশক্তি – জননেতা মোঃ মাইনুল আলম খান কনক ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত পবিত্র ঈদুল আযহা সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও আনন্দের ঘনঘটা – জননেতা মোঃ শরীফুল ইসলাম স্বপন

সেরা জননী আমিনা খাতুন

সেরা জননী আমিনা খাতুন

মো: আব্দুল ওহাব/ঠাকুরগাঁও (প্রতিনিধি)

১৯৭০ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে পরিবারের লোকজন বিয়ে দেন আমিনা খাতুনের। তখন তিনি ছিলেন সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।স্বাভাবিকভাবে বিয়ের পর আর পড়াশোনা করার সুযোগ হয়নি তাঁর। এরপর শুরু হয় সংসারজীবন। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মা তিনি।

তবে নিজে পড়াশোনা শেষ করতে না পারলেও চার সন্তানকে পড়াশোনা করিয়েছেন আমিনা খাতুন। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে
তাঁরা এখন সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত।

এই অর্জনের জন্য রোকেয়া দিবসে উপজেলা পর্যায়ে ২০২৩ সালে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা দেওয়া হয় আমিনা খাতুনকে। তাঁর বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের ছোট সিঙ্গিয়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মীর হাফিজ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী।

এবার রোকেয়া দিবসে উপজেলা পরিষদ হলরুমে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল কুমার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাঁকে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা পদক ও সনদ তুলে দেন।

আমিনা খাতুনের দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মীর মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম কুমিল্লায় পেট্রোবাংলার জিএম পদে, ছোট ছেলে মীর আব্বাস আলী স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের জিএম পদে, বড় মেয়ে শাহনাজ পারভীন এলাকার মধুপুর নয়াদিঘী এম রফিক আলিম মাদ্রাসায় সহকারী অধ্যাপক পদে এবং ছোট মেয়ে সিদ্দিকা বেগম লাকী সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি পদে কর্মরত।

আমিনা খাতুনের তিন সন্তানের জন্মের পর তাঁর শাশুড়ি মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি আমিনার কাছে আকুতি জানিয়েছিলেন, কষ্ট করে হলেও যেন সন্তানদের উচ্চশিক্ষিত করেন। কষ্ট করেই তিনি শাশুড়ির শেষ কথার মূল্য দিয়েছিলেন।

মধুপুর নয়াদিঘী এম রফিক আলিম মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক শাহনাজ পারভীন জানালেন সন্তানদের লেখাপড়া শেখাতে মায়ের সংগ্রামের কাহিনি। বললেন, আমাদের চারজনকে এ পর্যন্ত নিয়ে আসতে মা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। ওই সময় তিনি কষ্ট না করলে আমরা এত দূর আসতে পারতাম না। এমন মায়ের সন্তান হয়ে তাঁরা গর্বিত।



Our Like Page