সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আব্দুল্লাহকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল্লাহ পলাতক। তার বাড়ি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়কলস গ্রামে।
রোববার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ এ রায় ঘোষণা করেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ৭ আগস্ট আব্দুল্লাহর সঙ্গে শেফালী বেগমের বিয়ে হয়। অভাব-অনটনের কারণে তাদের প্রায়ই ঝগড়া হতো। ঘটনার প্রায় দুই মাস আগে সৌদি আরব যাওয়ার জন্য শেফালীর কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আব্দুল্লাহ। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ২০০৩ সালে ২৭ অক্টোবর তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ওই দিন বাড়ির পেছনে একটি আমগাছে ঝুলিয়ে শেফালীকে হত্যা করে।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং আলামত জব্দ করে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম দেখতে পায় পুলিশ। তাকে আটক রেখে যৌতুকের দাবিতে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এরপর মুখে ব্লাউজের কাপড় গুঁজে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে আম গাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে।
এ ঘটনায় শেফালীর মা মালেকা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পরে আব্দুল্লাহ, তার বাবা খাসিদ আলী ও মা সৈয়দুন্নেছার বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলার দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে আদালত আজ আব্দুল্লাহকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। সেই সঙ্গে এই মামলা থেকে তার বাবা-মাকে খালাস দিয়েছেন।