শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে নাগরপুর উপজেলা বিএনপি’র সাংবাদিক সম্মেলন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী নাগরপুরে শহীদ ক্যাডেট স্কুলে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নাগরপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ “জনতার সময়” অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক হলেন কাজী মোস্তফা রুমি ডুমুরিয়ায় ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে সি‌লেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ড‌শীপ ফাউ‌ন্ডেশনের মে‌ডি‌কেল ক্যাম্প অনু‌ষ্ঠিত জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী ৭ জন আইওআই(IOI) তে বাংলাদেশের প্রথম স্বর্ণ পদক লাভ করেছেন সিলেটের দেবজ্যোতি দাস সৌম্য

শ্যামা পূজা ও দীপাবলি আজ

শাহেদ আহমদ, স্টাফ রিপোর্টার:

সনাতন ধর্মীয় দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রী শ্যামা পূজা আজ সোমবার (২৪শে অক্টোবর)। কার্তিক মাসের অমবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পূজা বা কালী পূজা ও দীপাবলি উৎসব আড়ম্বর সহকারে পালিত হয়। দীপাবলি আসার অনেক আগেই চারদিক উত্তেজনায় ভরে গেছে। এবার দীপাবলি উৎসব উৎসাহের সঙ্গে পালিত হবে।

হিন্দু পূরাণ মতে- কালী দেবী দূর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে- শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।

কালী পূজার দিন হিন্দু সম্প্রদায় সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। এটিকে বলা হয় দীপাবলি।

হিন্দুধর্ম অনুসারে, দীপাবলি একটি উৎসব, যা ধনতেরাসের দিন শুরু হয় এবং ভাই ফোটাতে শেষ হয়। পাঁচ দিন ধরে দীপাবলি উৎসব পালিত হয় বেশ আড়ম্বরে। এবার দীপাবলি উৎসব মাত্র চার দিনের। ছোট দিওয়ালি অর্থাৎ নরক চতুর্দশী এবং দীপাবলি একই দিনে পালিত হচ্ছে। শুরু হবে ধনতেরাস দিয়ে।

পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে দেবী লক্ষ্মী আবির্ভূত হন। দীপাবলির দিনে দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান গণেশের পূজা করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে দেবী লক্ষ্মী পৃথিবীতে আসেন।

হিন্দু ধর্মে এই উৎসবের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিনে সম্পদের দেবী লক্ষ্মী, সম্পদের ভান্ডারী, ভগবান কুবের এবং জ্ঞানের দেবতা, ভগবান গণেশের পূজা করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দীপাবলির রাতে পুজো করলে জীবনে সুখ আসে। মা লক্ষ্মী ধন ও জাঁকজমক দান করেন, কুবের দেব সেই সম্পদকে স্থিতিশীলতা প্রদান করেন, অন্যদিকে গণেশের কৃপায় সম্পদ পরিচালনার বুদ্ধি লাভ হয়।

দুর্গাপূজার মতো এদিন গৃহে বা মণ্ডপে মৃন্ময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয়। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালীপূজা করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গেরস্ত বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্য মতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

লোকবিশ্বাস অনুযায়ী- কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামসহ শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

দিনটি উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা মন্দির , রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, সবুজবাগ থানাধীন শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, পুরান ঢাকার রাধাগোবিন্দ জিঁও ঠাকুর মন্দির, পোস্তগোলা মহাশ্মশান, তাঁতী বাজার, শাঁখারী বাজার, বাংলাবাজারসহ বিভিন্ন মণ্ডপ ও মন্দিরে শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।।



Our Like Page