শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে নাগরপুর উপজেলা বিএনপি’র সাংবাদিক সম্মেলন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী নাগরপুরে শহীদ ক্যাডেট স্কুলে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নাগরপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ “জনতার সময়” অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক হলেন কাজী মোস্তফা রুমি ডুমুরিয়ায় ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে সি‌লেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ড‌শীপ ফাউ‌ন্ডেশনের মে‌ডি‌কেল ক্যাম্প অনু‌ষ্ঠিত জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী ৭ জন আইওআই(IOI) তে বাংলাদেশের প্রথম স্বর্ণ পদক লাভ করেছেন সিলেটের দেবজ্যোতি দাস সৌম্য

শুধু মাত্র প্যাকেটজাত করার কারনে পণ্যের দাম ৩০ শতাংশের বেশি নিচ্ছে সুপারশপ গুলো

চ্যানেল ওয়ান বিডি ডেস্কঃ

একই মানের পণ্য শুধু মাত্র প্যাকেটজাত করার কারনে সুপারশপ গুলোতে যাওয়ার পরই হয়ে যায় দামের পরিবর্তন।কিন্তু গুন ও মানে একি পণ্য খোলা বাজারের তুলনায় ১৪ থেকে ৩৩ শতাংশ বেশি চড়া দাম নিচ্ছে সুপারশপ গুলোতে।কেবলমাত্র প্যাকেটজাত করার কারণে একই মানের চাল খোলা বাজারের তুলনায় ৩০ শতাংশের বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে কিছু সুপারশপে।প্যাকেটজাত চালের এই অধিক দামের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে খোলা বাজারের চালের ক্ষেত্রেও।ফলে বাজারে বেড়েছে চালের দাম।বাজারে তীর,রুপচাঁদা,প্রাণ,
এসিআই,চাষীসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চাল প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হচ্ছে।এভাবে চিনি ও লবণসহ অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রেও একই ভাবে মুনাফা করছে সুপারশপ গুলো।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এক পর্যবেক্ষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে বিভিন্ন সুপারশপ ব্যবসায়ী ও কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সঙ্গে মত বিনিময় সভায় এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন,চালসহ নিত্য পণ্যের খোলা ও প্যাকেটজাত অবস্থায় দামের এই অসঙ্গতি দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে,বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল খোলা অবস্থায় বিক্রি হচ্ছে গড়ে ৬৮ টাকা দরে।কিন্তু সেই একই মানের চাল প্যাকেটজাত করে আড়ং, স্বপ্ন,প্রিন্স বাজার,ইউনিমার্ট,মীনাবাজার,অ্যাগোরাসহ বিভিন্ন সুপারশপে ক্রয়মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।এ ক্ষেত্রে মিনিকেট চালে ১৪ থেকে ৩৩ এবং চিনিগুঁড়ো চালে ২১ থেকে ২৯ শতাংশ মুনাফা করছে।একই ভাবে লবণে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ এবং ইলিশ মাছে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা করছে।

সফিকুজ্জামান বলেন,অভিযানে দেখা গেছে,যেকোনো পণ্য সুপারশপ গুলোর লাভের পরিমাণ অনেক বেশি।সুপার প্রিমিয়ামের নামে ৫২ টাকার চাল বিক্রি করছে ৮৮ টাকায়।এভাবে তারা ভোক্তার পকেট কাটছে।কে কত টাকা লাভে পণ্য বিক্রি করছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।এসব বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।বাজারে পণ্যের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সুপারশপ গুলোর ভূমিকা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন,মিনিকেট চালের নামে প্রতারণা চলছে।এই প্রতারণা বন্ধ হওয়ার দরকার।তিনি বলেন,মোটা চাল খাওয়ার অভ্যাস করলে বাজারে আর মিনিকেট থাকবে না।

অধিদপ্তরের এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুপারশপের প্রতিনিধিরা বলেন, প্যাকেটজাত পণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) সুপারশপ গুলো নির্ধারণ করে না। বাজারজাতকারী ব্র্যান্ড গুলোই তা নির্ধারণ করে।এক্ষেত্রে তাদের দায় নেই।নিয়ম অনুযায়ী তারা মুনাফা করছেন।

এদিকে,জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর আগামীকাল আর একটি মতবিনিময় সভা ডেকেছে।এতে সাবান,ডিটারজেন্ট,টুথপেস্ট,লিকুইড ক্লিনার জাতীয় পণ্যের দাম বাড়ার বিষয়ে অনুসন্ধান করা হবে।এসব পণ্যের উৎপাদক ও বাজারজাতকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।



Our Like Page