সঞ্জয় মালাকার,রাজনগরঃ
স্মরন কালের সেরা বন্যা দেখছে বাংলাদেশ। ভাসছে সিলেট, চট্রগ্রাম সহ উত্তর-পূর্বের অনেক জনপদ।
মৌলভীবাজারের রাজনগরে ও বন্যা অতীতের রেকর্ড ভাঙ্গছে।দূর্দশায় দূর্বিশহ জীবন যাপন করছেন বান বাসীরা।
উপজেলার উত্তরভাগ,ফতেপুর,ও টেংরাবাজার ইউনিয়নের অনেক অঞ্চল বন্যা প্লাবিত হয়েছে।
বানবাসী উত্তরভাগ ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলেন,আজও পানি ২-৩ আঙ্গুল বৃদ্ধি পেয়েছে।পানি কমার কোনো লক্ষন নাই।আমরা বন্দী অবস্থায় আছি।
১নং উত্তরভাগ ইউনিয়নের ৫টি ও ২নং ফতেপুর ইউনিয়নের ৫টি সহ মোট ১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন হাজারো পরিবার।কিন্তু সেই সকল আশ্রয়কেন্দ্রে পৌছায়নি পর্যাপ্ত ত্রান সামগ্রী।পানি বন্দি হয়ে আছেন বন্যার কবল থেকে বাঁচতে ঘর ছাড়া সুনামপুর বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রের শরনার্থীরা।নৌকা ছাড়া যোগাযোগ করা যাচ্ছেনা আশ্রয় কেন্দ্রে।
এদিকে ১নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল কুমার দাস বলেন,আমার এলাকায় বন্যা কবলিত ২৫০০টি পরিবার। কিন্তু আমার ইউনিয়নে বরাদ্দ হয়েছে ৬০০পরিবারের জন্যে ৬টন চাল।
একই অবস্থা উত্তরভাগ ইউনিয়নের বন্যার্তদের।ইউ পি সদস্য মোঃ মাসুক বলেন,ওয়ার্ড ভিত্তিক আমাদেরকে ত্রান সামগ্রী বিতরণের জন্যে দেয়া হয়েছে কিন্তু যা পেয়েছি তা প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্প।একই কথা বলেন আরেক ইউ পি সদস্য অলি আহমেদ।
জানা যায়,পাঁচদিন যাবত আশ্রয় কেন্দ্রে মানবেতর জীবন যাপন করছেন উত্তরভাগের বানবাসীরা।অথচ এখনো উদ্ভোদন হয়নি বহুল কাঙ্খিত নিরাপদ আশ্রয় কান্দিগাঁও উচ্চ দিব্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্র। এলাকাবাসীদের দাবি, যদি এই আশ্রয় কেন্দ্র উদ্ভোদন হতো তাহলে অনেক মানুষ এবারের বন্যায় ভুক্তভোগী কম হতো।