যাচ্ছে দেশীয় মাছ, আসছে মদ
মো: তাজিদুল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জের প্রচুর পরিমাণ দেশী মাছ যাচ্ছে ভারত,আসছে মদ।
জেলার ছাতক ও দোয়ারাবাজারের ৫টি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা সংলগ্ন ভারতের মেঘালয় রাজ্য। এসব সীমান্ত দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই প্রতিরাতে শ’কোটি টাকার ৮০-৯০টি ট্রাকভর্তি কই, শিং, মাগুর, ইলিশ পাবদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাচ্ছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। আর ভারত থেকে আসছে মদসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ অবৈধ পণ্য।
ভারত থেকে দেশে অবাধে আসছে গরু, মহিষ, মাদকদ্রব্য, কসমেটিক্স, চিনি, কমলাসহ অবৈধ বিভিন্ন মালামাল। রাতের আঁধারে ছাতক ও দোয়ারাবাজার দিয়ে সড়কপথ ও নৌপথে অবৈধ মালামাল শহরে প্রবেশ করছে। এগুলো বাংলাবাজার, বালিউরা থেকে ভুয়া রশিদ দিয়ে শত শত বস্তা, কার্টন ভরা মাদক, বস্তায় পেঁচিয়ে প্যাকেট করা গাঁজা ও ইয়াবা, বড় ডিআই ছোট ট্রাক দিয়ে মহিষ গরুও আসছে। প্রতিরাতে শ’কোটি টাকার লেনদেন করছেন মাদক চোরাচালানিরা। অধিক মুনাফায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে সীমান্তের চোরাকারবারিরা। ফলে স্থানীয় হাটগুলোতে এসব মাছের সংকট দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মদদ রয়েছে। চোরাই পথে মাছের চালান ভারতে যাওয়ায় সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে দেখা দিয়েছে মাছের আকাল। বলা যায় চোরাকারবারিদের নিরাপদ স্পট ছাতক-দোয়ারার উত্তর সীমান্ত বোগলা ও শ্রীপুর। এসব সীমান্ত এলাকার সীমান্ত ডন বুলবুল মেম্বার ও মিলনের নেতৃত্বে ৮ শতাধিক কর্মী বাহিনী নিয়ে চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বরফ দিয়ে ১০-১৫ কেজির প্যাকেট করা হয় পাবদা মাছের। শিং, মাগুর ও কই মাছ রাখা হয় পানিভর্তি বড় বড় ড্রামে। পরে প্রতি ট্রাকে ৭৫ থেকে ৮০ মন মাছ বোঝাই করে স্থানীয় বাংলাবাজারের গোপন আড়তে মজুত করা হয়। রাতে সেখান থেকে এগুলো পৌঁছানো হয় সীমান্তের বিভিন্ন জিরো পয়েন্টে। ওখানে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকেন এপার-ওপার দুপারের শ্রমিকরা। সুযোগ বুঝে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ট্রাকে থাকা মাছের ড্রাম ও প্যাকেটগুলো ভারতীয় ট্রাকে স্থানান্তর করা হয়। অভিযুক্ত বুলবুল মেম্বার ও মিলন খান এসব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চোরাচালানির ব্যবসার সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশে অবৈধ মালামাল দেশে আসছে।
এ ব্যাপারে ছাতক-দোয়ারাবাজার (সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক বলেন, ভারতে এসব মাছ পাচার আর দেশের অভ্যন্তরে মদ আসার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।