শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে নাগরপুর উপজেলা বিএনপি’র সাংবাদিক সম্মেলন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী নাগরপুরে শহীদ ক্যাডেট স্কুলে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নাগরপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ “জনতার সময়” অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক হলেন কাজী মোস্তফা রুমি ডুমুরিয়ায় ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে সি‌লেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ড‌শীপ ফাউ‌ন্ডেশনের মে‌ডি‌কেল ক্যাম্প অনু‌ষ্ঠিত জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী ৭ জন আইওআই(IOI) তে বাংলাদেশের প্রথম স্বর্ণ পদক লাভ করেছেন সিলেটের দেবজ্যোতি দাস সৌম্য

মানসিক স্ট্রেসে থাকা শিক্ষার্থীকে পরামর্শ দিয়ে কি অপরাধ করেছি! -সমালোচিত শিক্ষক

জবি প্রতিনিধি
নিজ বিভাগের ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মানিক মুন্সির বিরুদ্ধে। অভিযোগটি তদন্তের জন্য মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে মানিক মুন্সির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটা ষড়যন্ত্রের শিকার। ওই শিক্ষার্থী আমার কাছে তার মানসিক স্ট্রেসের কথা বলায় আমি তাকে কিছু পরামর্শ দেই সেটা কি বড় রকমের অপরাধ করে ফেলছি আমি। গত বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর ওই শিক্ষার্থীকে তিন ঘন্টা আটকে রেখে আমার বিরুদ্ধে জবানবন্দি নিয়ে জোর করে অভিযোগপত্র দেয়ার ব্যবস্থা করে আমাকে বিপদে ফেলেছে কেউ কেউ। অভিযোগ পত্র দায়ের করেই ওই শিক্ষার্থী লাপাত্তা। এখানেই তো প্রশ্ন জাগে?
তিনি আরও বলেন আমাকে নিয়ে ঢালাওভাবে প্রচার করা হচ্ছে আমার নাকি আমার স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হয়েছে। যেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। যে যেখান থেকে পারছে আমার বিরুদ্ধে যা ইচ্ছে তাই লিখছে।

এছাড়া ছাত্রীর মানসিক স্ট্রেস নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন ডিপ্রেশনে থাকা শিক্ষার্থী যে কিনা মানসিক স্ট্রেস হারিয়ে দুইবার আত্মহত্যার মত জঘন্য কাজ করতে চেয়েছিল।পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলিং সেন্টার থেকে দুইবার কাউন্সিল নেওয়ার পরও সে মানসিক বিপর্যস্ত থাকতো সর্বদা এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষার্থী একদিন আমাকে ফোন দিয়ে বলে স্যার আমি আপনার সাথে কিছু বিষয় শেয়ার করব তার কথার প্রেক্ষিতে আমি বললাম ক্যাম্পাসে এসে বিষয়গুলো শেয়ার করিও। পরদিন (১২ জুন) ওই শিক্ষার্থী আমার রুমে আসলে আমি তার ডিপ্রেশনে থাকার কারনগুলো জানার চেষ্টা করি। তখন সে নিজেই বলে স্যার আমি মাঝে মাঝে আমার মেজাজ ধরে রাখতে পারি না। এটা ছাড়াও হুট করে মানসিকভাবে ডিপ্রেশনে পড়ে যাই কোন কারন ছাড়াই।

এদিকে সর্বশেষ গত বুধবারে ওই ছাত্রী আমার রুমে আসলে কিছুক্ষণ পরে বিভাগের এক সহকর্মী বিষয়টি দেখা মাত্রই অন্যদের ডাকাডাকি করতে থাকে। ওই ছাত্রী আমার রুমে আসছে সর্বচ্চ পাঁচ মিনিট হবে। এরপর ওই শিক্ষার্থী আমার রুম থেকে বের হওয়ার পরে তাকে পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দেখা করতে বলে। পরদিন ওই শিক্ষার্থী আমার ওই সহকর্মীর রুমে গেলে তাকে জোরজবরদস্তি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে তার মাধ্যমে অভিযোগ দেওয়া হয় বলে জানান অভিযুক্ত শিক্ষক।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী ছাত্রীর সাথে বারবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শরিফুল আলম বলেন, বিষয়টি বিভাগের একাডেমিক সভায় প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ওই শিক্ষককে বিভাগের সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।



Our Like Page