ভয়াবহ বন্যা ! ত্রাণ নয়, নিরাপদ স্হানে পৌঁছানোর আকুতি বানভাসি মানুষের ! – Channel One BD
মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
টাঙ্গাইল নাগরপুরের বেলতৈলে ফুটবল ফাইনাল টুর্নামেন্ট’২৫ অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত সময় পার করলেন জননেতা মোঃ শরীফুল ইসলাম স্বপন বানিয়াচং উপজেলায় দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় উসমান নামের একজন গ্রেফতার মিশিগানে ঈদ সাবেক তালামীযের দায়িত্বশীল নিয়ে ঈদ পূর্ণমিলনীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা আপনাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও আনন্দের ঘনঘটা- ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ঈদুল আযহা কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি আত্মত্যাগের প্রতীক- জননেতা মোঃ হাবিবুর রহমান হবি পবিত্র ঈদুল আযহা সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ শান্তি ও আনন্দের ঘনঘটা- জননেতা মীর আবুল কালাম আজাদ রতন পবিত্র ঈদুল আযহার কোরবানির এই ত্যাগের মাধ্যমে প্রিয় বাংলাদেশ থেকে মুছে যাক সকল অপশক্তি – জননেতা মোঃ মাইনুল আলম খান কনক ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত পবিত্র ঈদুল আযহা সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও আনন্দের ঘনঘটা – জননেতা মোঃ শরীফুল ইসলাম স্বপন মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আযহা- জননেতা মোঃ আতিকুর রহমান আতিক

ভয়াবহ বন্যা ! ত্রাণ নয়, নিরাপদ স্হানে পৌঁছানোর আকুতি বানভাসি মানুষের !

অপু দাস,বড়লেখা প্রতিনিধিঃ

বড়লেখায় প্রতি বছরের মতো এবারও বন্যার আগেই ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে বড়লেখা উপজেলার সব কয়টি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামই ডুবে আছে পানির নিচে ।

হঠাৎ ভয়াবহ বন্যায় এসব এলাকায় ইতোমধ্যে মসজিদ-মন্দির, স্কুল-মাদ্রাসা,ঘরবাড়ি,ফসলি জমি ভয়াবহ বন্যার ফলে বিলীন হয়ে যাচ্ছে প্রতি মুহূর্তেই। ছোট ছোট নদীর ভয়াবহ ভাঙন-ঝুঁকিতে রয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র, স্কুল, বাজার, বসতবাড়ি আরও বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।ভয়াবহ বন্যা ও ভাঙ্গনের কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় অসংখ্য মানুষের দিন কাটছে দিবারাত্রি ভাঙ্গন আতঙ্কে। অনেকের ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র আর গবাদিপশু সরিয়ে নিচ্ছে নিরাপদ আশ্রয় স্থানে,তবুও প্রতিদিন মরছে হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল।

এলাকাবাসী জানান,পাহাড়ি ঢল ও উজান থেকে নেমে আসা আর টানা বর্ষনে পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি ৭নং ইউনিয়নের সব কয়টি গ্রাম, এবং হাকালুকি হাওড় এলাকায় শুরু হচ্ছ ভাঙন। এবং দাসের বাজার ইউনিয়নেরও একই অবস্থা । এলাকার জনগণ জানান আমাদের এলাকার সব পরিবারেরই লোকজন নিজ কর্মস্থানে যেতে হয় পানির সাথে জীবন বাজি রেখে, বাংলাবাজার থেকে দাসের বাজার যাওয়ার রাস্তায় প্রতিবছরই ঐ একই স্হানে পানি জমে থাকায় রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে, অর্ধেক রাস্তা গাড়ি অর্ধেক রাস্তা নৌকায় যাতায়াত করতে হয় আমাদের এলাকার লোকদের, তাতে আমাদের মাসিক বেতনের তিন ভাগের দুভাগই চলে যায় রাস্তা খরচে।যদি আমাদের দাসের বাজার থেকে বাংলাবাজারের পানিডোবা ৩০-৫০ হাত এটুকু রাস্তা এক থেকে দেড় হাত উঁচু করে পাকাকরণ করা হয় তাহলে অন্তত আমাদের যাতায়াত করতে একটু কম অসুবিধা হবে ।

পাহাড়ি ঢল আর নদীর অব্যাহত ভাঙনে ২ শতাধিক ঘরবাড়ি,ফসলি জমি ভয়াবহ ভাঙ্গনে ছোট ছোট নদীগর্ভে ও হাওড়ে বিলীন হয়ে গেছে,এবং যাচ্ছে। এছাড়াও ১৫০০টি পরিবারের আবাসস্থল হচ্ছে এলাকার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র স্কুল।

একদিকে এই ভয়াবহ বন্যা অন্যদিকে নেই বিদ্যুৎ, কারো বাড়ি কিংবা আশ্রয় কেন্দ্রে জ্বলছে না আলো, মোমবাতির আলো জ্বালাবে তারও সামর্থ্য নেই কারণ ব্যবসায়ীরা ৫ টাকার মোমবাতি এখন ১০ টাকা করে বিত্রুয় করছে, বিদ্যুৎ না থাকায় যোগাযোগব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন আমরা ত্রাণ নয়, দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখার আকুতি জানাই। এবং ভয়াবহ বন্যায় ঘরবাড়ি ছেড়ে যারা নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো উঠতে পারছে না রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন তারা নিরাপদ স্হানে পৌঁছানোর আকুতি এই বানভাসি মানুষদের !



Our Like Page