ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা এখনো পানিবন্ধী – Channel One BD
মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
টাঙ্গাইল নাগরপুরের বেলতৈলে ফুটবল ফাইনাল টুর্নামেন্ট’২৫ অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত সময় পার করলেন জননেতা মোঃ শরীফুল ইসলাম স্বপন বানিয়াচং উপজেলায় দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় উসমান নামের একজন গ্রেফতার মিশিগানে ঈদ সাবেক তালামীযের দায়িত্বশীল নিয়ে ঈদ পূর্ণমিলনীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা আপনাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও আনন্দের ঘনঘটা- ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ঈদুল আযহা কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি আত্মত্যাগের প্রতীক- জননেতা মোঃ হাবিবুর রহমান হবি পবিত্র ঈদুল আযহা সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ শান্তি ও আনন্দের ঘনঘটা- জননেতা মীর আবুল কালাম আজাদ রতন পবিত্র ঈদুল আযহার কোরবানির এই ত্যাগের মাধ্যমে প্রিয় বাংলাদেশ থেকে মুছে যাক সকল অপশক্তি – জননেতা মোঃ মাইনুল আলম খান কনক ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত পবিত্র ঈদুল আযহা সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও আনন্দের ঘনঘটা – জননেতা মোঃ শরীফুল ইসলাম স্বপন মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আযহা- জননেতা মোঃ আতিকুর রহমান আতিক

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা এখনো পানিবন্ধী

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা এখনো পানিবন্ধী

অপু দাস, সহ-বার্তা সম্পাদকঃ
ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি গতিহীনভাবে  বাড়ছে। ছোট ছোট নদী বা ছড়ার পানি  প্লাবিত হয়ে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা এখন পানিবন্ধী

       গেলকাল রাত একটায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সিলেট নগরের ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টি প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া জেলার ১২ উপজেলার ১০২টি ইউনিয়নে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বন্যায় আটকেপড়া  জনসংখ্যা ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৭। এর মধ্যে নগরীর বাসিন্দা ৫০ হাজার। জেলায় ১ হাজার ৩২৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিলেট নগরে ৮০টি ও জেলায় ৫৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এ অবস্থায় ১৭ হাজার ২৮৫ জন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন।
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের ১২ উপজেলাতেই ভয়াভয় পানি ঢুকেছে। কোথাও কোথাও পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও পানি বেড়ে নতুন করে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের আজকের সর্বশেষ হিসাব বলছে, জেলায় বন্যাক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় পৌনে সাত লাখ। আগামী তিন দিন ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা করা যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন ।
বানভাসি লোকজন বলেন, জেলার ১২টি উপজেলাই কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলায়। এ তিন উপজেলা সদর তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বেশির ভাগ গ্রামের ভেতরে পানি ঢুকেছে। কোথাও কোথাও পানি হাঁটু থেকে গলাসমান বলে দাবি করেছেন স্হানীয় বাসিন্দারা। এ ছাড়া গ্রামীণ সড়ক ডুবে যাওয়ায় উপজেলাগুলোর বেশ কয়েকটি স্থানে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আজ বুধবার ভোর থেকে সিলেটে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি পড়ছিল। এতে জেলার অধিকাংশ নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এ ছাড়া ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় অনেক এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, সিলেটে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।এর আগে গত ২৯ মে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যার দেখা দেয়। ৮ জুনের পর থেকে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। সর্বশেষ গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টিতে ফের জেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন তৎপর ও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেনন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পানিবন্দী লোকদের উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তৎপরতা চালানো হচ্ছে। বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম আজ সকাল সাতটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনো ভারী বৃষ্টি। এতে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় আছে। রান্না করা খাবার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

আরো জানা যায়, আজ সকাল ছয়টায় জেলার সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি-গোয়াইন নদীর ছয়টি স্থানে (পয়েন্টে) পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে জানায় জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয়। সংস্থাটির তথ্যমতে, ওই সময়ে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৯৩ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার; কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে শূন্য দশমিকঅসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা।  ৪৬ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার ও শেরপুর পয়েন্টে শূন্য দশমিক শূন্য ১ সেন্টিমিটার এবং সারি-গোয়াইন নদীর গোয়াইনঘাট পয়েন্টে শূন্য দশমিক শূন্য ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।পানি জমায় ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।



Our Like Page