কাজী মোস্তফা রুমি, বার্তা সম্পাদক:
মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে মিশে আছে। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বাংলার স্বাধীনতার যে লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছিলাম তা সম্ভব হয়েছিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই। তাঁরা যদি নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ না করে রণাঙ্গনে সশস্ত্র যুদ্ধ না করতেন তাহলে কোন ভাবেই আমরা আমাদের স্বাধীনতার লাল সূর্য, স্বাধীন ভূখণ্ড ও স্বাধীন পতাকা পেতাম না।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে সকল মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের পর জীবিত ছিলেন বয়সের কারণে, বার্ধক্যের কারণে ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছেন আমাদেরকে ছেড়ে। শূন্য করে দিয়ে যাচ্ছেন অভিভাবকত্ব।
ঠিক তেমনি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শে একনিষ্ঠ কর্মী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নাগরপুর উপজেলা শাখার অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. চাঁন মিয়া আজ ৩১ শে আগস্ট দিবাগত রাত ৮ঃ০০ ঘটিকার সময় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর এই মৃত্যুতে গভীর শোক এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন, নাগরপুর- দেলদুয়ারের গণমানুষের নেতা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া ও উপ-কমিটির অন্যতম সদস্য, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য জননেতা তারেক সামস খান হিমু।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. চাঁন মিয়ার মৃত্যুর খবর জননেতা তারেক শামস হিমুর কাছে পৌঁছালে গণমাধ্যম তার সঙ্গে যোগাযোগ করে।
তিনি বলেন – আসলে আমি খুব মর্মাহত, শোকাহত। আমার এই মুহূর্তে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. চাঁন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়ে বলার মত কোন অবস্থা নেই। আমি মর্মাহত, শোকাহত, বিষন্ন।
শুধু এটুকুই বলবো – ডা. চাঁন মিয়া ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একনিষ্ঠ কর্মী।
৭১’এর মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের বীর সৈনিক। আমি দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত তাঁর সঙ্গে মিশেছি। তিনি অত্যন্ত চমৎকার একজন বিবেকবান মানুষ এবং অভিভাবক হিসেবে ছিলেন। আমি সত্যিকার অর্থেই একজন অভিভাবককে হারালাম।
তাঁর এই মৃত্যুতে আমি গভীর শোক এবং তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর নিকট তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।