শাহেদ আহমদ, সুনামগঞ্জ:

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়ছে বিশ্ব। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছেন। কোটি কোটি মানুষ এখনও এ মহামারির কারণে বিপর্যস্ত। বেশ কিছু দিন ধরে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রভাব বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

শনিবার সকালে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছে ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস। ওই সকল তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণে ১ হাজার ৮০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে এ ভাইরাসে সংক্রমিত বলে শনাক্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৭৩ হাজার ১৩০ জন। এছাড়া এ মহামারি থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২০ হাজার ১১৯ জন।

এর ফলে বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৩ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭১ জনে। এছাড়া করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫৭ কোটি ৯৫ লাখ ৭৪ হাজার ৮১৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে জাপানে। দেশটিতে ২ লাখ ২৭ হাজার ১৩৯ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। এ সময়ে দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩১০ জন। অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় এটা আজকের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ১৯৭ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

গত ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।। এ সময়ে দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩১২ জনের বেশি মানুষ। দেশটিতে ৬৩ হাজার ৭৯৮ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৬৮ হাজার ৮৪৩ জনে। মহামারি শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

শনিবার করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে। এ সময়ে দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩৬ জনের বেশি মানুষ। দেশটিতে ১৮ হাজার ২৭০ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬৪ জনে। মহামারি শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৬৮ হাজার ৯০৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

এছাড়া করোনা সংক্রমিত হয়ে একদিনে জার্মানিতে ১০১, ইতালিতে ৯৯ জন, রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াতে ৮১, স্পেনে ৭০, মেক্সিকোতে ৬৪, অস্ট্রেলিয়ায় ৫৫ জন, ফ্রান্সে ৫১ জন এবং ইরানে ৩৫ জন মারা গেছেন।

মহামারি শুরুর প্রায় এক বছর পর টিকা আবিষ্কার করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা। তারপর থেকে করোনার ঢেউ অনেকটা কমে আসে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা টিকার বুস্টার ডোজের ওপর জোর দিচ্ছে। করোনার প্রকোপ থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে বিশ্ব। এখন পর্যন্ত বিশ্বের যেসব দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিলো সবই প্রায় তুলে নেয়া হয়েছে।