শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে নাগরপুর উপজেলা বিএনপি’র সাংবাদিক সম্মেলন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী নাগরপুরে শহীদ ক্যাডেট স্কুলে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নাগরপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ “জনতার সময়” অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক হলেন কাজী মোস্তফা রুমি ডুমুরিয়ায় ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে সি‌লেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ড‌শীপ ফাউ‌ন্ডেশনের মে‌ডি‌কেল ক্যাম্প অনু‌ষ্ঠিত জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী ৭ জন আইওআই(IOI) তে বাংলাদেশের প্রথম স্বর্ণ পদক লাভ করেছেন সিলেটের দেবজ্যোতি দাস সৌম্য

দুর্নীতি মামলায় প্রদীপের ২০ বছর:স্ত্রীর ২১ বছরের কারাদণ্ড

চ্যানেল ওয়ান বিডি ডেক্সঃ

টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের দুর্নীতি মামলার রায় বুধবার ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ে প্রদীপ কুমার দাশকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রী চুমকি ২১ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন,সম্পদের তথ্য গোপন এবং অর্থপাচারের দায়ে কয়েকটি ধারা মিলিয়ে এ দণ্ডাদেশ দেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ। রায়ে তাদের অবৈধভাবে সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও আদেশ দেন আদালত। প্রদীপ কুমার দাশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় ফাঁসির আসামি। এর আগে গত ১৭ জুলাই প্রদীপ-চুমকি দম্পতির বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালত।প্রদীপ দম্পতির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন আদালত। ওইদিন আদালতে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকিও উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়,গত ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। প্রদীপ কারাগারে থাকলেও তার স্ত্রী চুমকি তখন পলাতক ছিলেন। গত ২৩ মে চুমকি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন পাথরঘাটায় ৬ তলা বাড়ি,ষোলশহরে বাড়ি,৪৫ ভরি সোনা,একটি গাড়ি,একটি মাইক্রোবাস,ব্যাংক হিসাব এবং কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে চুমকির নামে। তাদের ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় দুই কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকা। দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পেয়েছে দুদক। এ ছাড়া চুমকি নিজেকে মৎস্য ব্যবসায়ী দাবি করলেও এ ব্যবসার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এদিকে ২০২১ সালের ২৬ জুলাই প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। মামলায় ২৯ সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জন সাক্ষ্য দেন।



Our Like Page