কাজী মোস্তফা রুমি: টাঙ্গাইলের নাগরপুর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে মডেল মসজিদ নির্মাণ নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনার ঝড়। মডেল মসজিদ নিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার আমলে নানা রকম প্রহসনের পর গত ৫ আগস্ট’২৪ সমগ্র দেশব্যাপী রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে তখন থেকেই প্রশাসনের নিকট ধর্মপ্রাণ নাগরপুরবাসীর দাবি সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণেই মসজিদ নির্মাণ করা হোক।
নাগরপুরবাসীর এই দাবিকে প্রাধান্য দিয়ে গত ২৬ জুন’২৫ মডেল মসজিদ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচিত হয়।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ২৮ জুন রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তরটি ভেঙে ফেলে। এ ঘটনায় ধর্মপ্রাণ জনতা ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অনেকেই এটিকে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন।
এর আগে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতা করে ভুল তথ্য সম্বলিত অসম্পূর্ণ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এরপর আজ ২৯ জুন রবিবার সকাল ১১:০০ টায় নাগরপুর সরকারি কলেজ গেইট সংলগ্ন এলাকায় তৌহিদি জনতা বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে অংশ নেন এলাকার শত শত ধর্মপ্রাণ মানুষ সহ বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নাগরপুর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম মোস্তফা গোলাম, নাগরপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. বাবুল মেহেদী, আঃ রাজ্জাক, শামীম আহমেদ, লাভলু মিয়া, মনসুর মিয়া সহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন- নাগরপুর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণেই মডেল মসজিদ নির্মাণ হোক এটি আমাদের সকলের প্রাণের দাবি।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোনো অপপ্রচার, নাশকতা এবং ষড়যন্ত্র শান্তি প্রিয় নাগরপুরবাসী মেনে নেবে না।
যারা রাতের অন্ধকারে এই ধরনের জঘন্য কাজ করেছে, তাদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন- এই মসজিদ কেবল একটি ভবন নয়, এটি আমাদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতীক এবং ইবাদতের পবিত্র স্থান। আমরা সকলে একই জায়গায় নতুনভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে দ্রুত নির্মাণকাজ শুরুর জোর দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন সংগঠন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান মসজিদ নির্মাণে বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং নাগরপুরবাসীর ধর্মীয় আবেগকে সম্মান জানিয়ে উক্ত স্থানে দ্রুত মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না এলেও স্থানীয় সচেতন মহল আশা প্রকাশ করেছেন প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে নাগরপুরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে এবং ধর্মপ্রাণ মানুষের দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।