সঞ্জয় মালাকার, রাজনগরঃ
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার রাজনগর সদর ইউনিয়নে চলছে বেআইনি ভাবে জনশুমারির (গৃহ গণনায়)কাজ।এতে ইউপি সদস্য সুপারভাইজার পদে কর্মরত। এ ব্যাপরে কিছুই জানেন না উর্ধতন কর্মকর্তা।
সারাদেশের ন্যায় ১৫জুন হতে রাজনগরে (গৃহ গণনা) জনশুমারী চলছে। কিন্তু সরজমিনে ঘুরে দেখাযায়, জন শুমারিতে সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করছেন, রাজনগর উপজেলার রাজনগর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য (মেম্বার) মাসুমুর রহমান (রাসেল)।
খবর শুনে সত্যতা যাচাইয়ের জন্যে ইউ,পি সদস্যের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে রাজনগর পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিচালক রাজিব আহমেদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তাকে (মাসুম আহমেদ কে) কিভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উনার জানা নেই। তিনি বলেন পরিসংখ্যান কর্মকর্তা অভিজিৎ দত্তের সাথে যোগাযোগ করার জন্য।
রাজিব আহমেদ এর কথায় আমরা পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তা অভিজিৎ দত্তের সাথা মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন তাকে নিয়োগ দেওয়ার সময় তাদের জানা ছিলনা সে যে বর্তমান ইউপি সদস্য। তিনি আরো বলেন সে তথ্য গোপন করে সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে।তিনি বলেন কাজ শুরুর দুই তিনি দিন পর তিনি জানতে পারেন যে সে ইউপি সদস্য।
জানা যায় সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল বেকার কর্মহীণ লোকদের। কিন্তু তিনি ইউপি সদস্য হয়েও বেআইনি ভাবে সুপারভাজরের কাজ করতেছেন।
রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বাবলু সুত্রধর এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এবিষয়ে আমার জানা নেই এটি পরিসংখ্যান ব্যুরোর কর্মকর্তারা ভালো বলতে পারেন।
১নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব নকুল কুমার দাস এই অনিয়মের কথা অকপটে স্বীকার করেন।তিনি এই অনিয়মের জন্যে তৎকালীন নিয়োগকারী কর্মকর্তাকে দায়ী করেন।তিনি আরো বলেন,এক জনের বদলে অন্যজনের দারা করা এই গননা আদৌ কতোটুকু সঠিক হবে এ নিয়ে আমিও শঙ্কিত।
এতোবড় একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি কাজে এধরণের অনিয়ম হলে কিভাবে সঠিক ভাবে জনশুমারী (গৃহ গণনার) হবে তা ভাবনার বিষয়।এছাড়াও দেখা যায় বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন খানায় জনশুমারির কর্মিগন সরেজমিনে না গিয়ে অন্যজনকে পাঠিয়ে খাতায় লিখে তথ্য সংগ্রহ করতেছেন এবং এখনো অনেক খানায় কোন কর্মী যায়নি এভাবে তথ্য সংগ্রহ করলে কতোটা সঠিক হবে তা জনমনে চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।