শাহেদ আহমদ, সুনামগঞ্জ:
অগ্নিকাণ্ডের খবর জানিয়ে ৯৯৯ এ কল করেও শেষ সম্বল বসতঘরটি রক্ষা করা গেল না। ৯৯৯ এ কল করার এক ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু এর আগেই বসত ঘরটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
গত রোববার রাতে সাড়ে ৩টার দিকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেলতলা গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, নারিকেলতলা গ্রামের মইম মিয়ার বসত ঘরে রাত সাড়ে ৩টা দিকে আগুন লাগলে ঘরে থাকা ভেড়া ও মোরগের শব্দে মইম মিয়ার ছেলে জহির মিয়া ঘর থেকে বের হয়ে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান। পরে ওই ঘরে ঘুমিয়ে থাকা পরিবারের আরও ৯ সদস্যকে দ্রুত বের করে আনেন। অগ্নিকাণ্ডে ৬টি ভেড়া ও ৯ টি মোরগসহ টিনসেটের বসতঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জহির মিয়া বলেন, ফায়ার সার্ভিসের জন্য ৯৯৯ এ কল করেও আমাদের ঘরটি রক্ষা করতে পারিনি। এক ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসে। ততক্ষণে সব শেষ হয়ে যায়। তাঁর দাবী প্রতিপক্ষের লোকজন বসতবাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। প্রতিবেশী এক পরিবারের সঙ্গে জায়গা জমি নিয়ে তাঁদের দীর্ঘ ১০ বছর যাবত মামলা মকদ্দমাসহ বিরোধ চলছে। এ বিষয়ে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিবেন বলে জানান।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার ওসিসহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জগন্নাথপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ইনচার্জ আল-মাসুদ বলেন, ৯৯৯ থেকে কল আসার পর ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে একটু বিলম্ব হওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়। পরে আমরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।#