জকিগঞ্জ প্রতিনিধি :
জকিগঞ্জে বাতিল হওয়া সুলতানপুর ও কাজলসার ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামীকাল বুধবার। বসে নেই চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদের প্রার্থীরা।প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভোট চেয়ে। ভোটারদের মন জয় করতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
সোমবার মধ্যরাত থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে।
দুটি ইউপিতেই প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে রয়েছে অপর প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ছাড়া বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা বিরাজ করছে। নানা নাটকীয়তা শেষে সুলতানপুর ও কাজলসার ইউপির নির্বাচনে কারা হাসছেন বিজয়ের হাসি এ নিয়েও প্রার্থীদের সমর্থক ও ভোটারদের মধ্যে চলছে জল্পনা কল্পনা। ভোট নিয়ে ভোটার ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের শঙ্কা থাকলেও নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের প্রশ্নে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সুলতানপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে মোট পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন। তবে ভোটের মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ইকবাল আহমদ চৌধুরী একল (নৌকা), আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম (আনারস), উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমদ চশমা। বাকি দুই প্রার্থী জালাল উদ্দিন ও জাপার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খাঁন ভোটের মাঠে নেই। কাজলাসর ইউপিতে আটজন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। তবে এরমধ্যে ভোটের মাঠ কাপিয়ে তুলেছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান জুলকার নাইন লস্কর (নৌকা), আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুল আম্বিয়া (আনারস), বিএনপি ঘরানো চেরাগ আলী (চশমা)।
গত ৫ জানুয়ারী জকিগঞ্জের ৯টি ইউপির সঙ্গে এ দুই ইউপি ভোট গ্রহণ হয়েছিলো। কিন্তু ভোটের দিন বিকেল ৩টার দিকে কাজলসার ইউপির মরিচা ভোটকেন্দ্রের সামনে থেকে নৌকায় সিল দেয়া ব্যালটসহ আটক হন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তা শাদমান সাকীব এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম।ঐদিন সাথে সাথে কাজলসার ইউপির ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। সুলতানপুর ইউপির নির্বাচনের দিন বিকেলের দিকে অনিয়মের অভিযোগে গণিপুর ভোটকেন্দ্রের ব্যালেট ছিনতাই করে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। পরে ঐ ইউপির একটি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত হয়। পরে পরাজিত কয়েকজন সদস্য পদপ্রার্থী উচ্চ আদালতে সুলতানপুর ইউপির নির্বাচন বাতিল চেয়ে রিট করেন। ঐ রিটের শুনানি শেষে উচ্চ আদালত সুলতানপুর ইউপির নির্বাচন বাতিল করে পুন:তফসিলের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে এ ইউপিগুলোতে ভোটগ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তপন চন্দ্র জানান, দুই ইউপিতে অবাদ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা হবে। এখন পর্যন্ত কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যেদিয়ে নির্বাচন শেষ হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের প্রশ্নে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। ভোটারের রায়ের প্রতিফলন হবে। নির্বাচনে জুডিসিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন। দুটি ইউপির সবগুলো ভোট কেন্দ্রকে ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে কাজ করছে প্রশাসন।