শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে নাগরপুর উপজেলা বিএনপি’র সাংবাদিক সম্মেলন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী নাগরপুরে শহীদ ক্যাডেট স্কুলে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নাগরপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ “জনতার সময়” অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক হলেন কাজী মোস্তফা রুমি ডুমুরিয়ায় ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে সি‌লেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ড‌শীপ ফাউ‌ন্ডেশনের মে‌ডি‌কেল ক্যাম্প অনু‌ষ্ঠিত জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী ৭ জন আইওআই(IOI) তে বাংলাদেশের প্রথম স্বর্ণ পদক লাভ করেছেন সিলেটের দেবজ্যোতি দাস সৌম্য

খোলাবাজারে কমছে ডলারের দাম

চ্যানেল ওয়ান বিডি ডেক্সঃ

বিলাসী পণ্যসহ আমদানিতে লাগাম টানায় কমেছে আমদানির এলসি খোলার পরিমাণ। এর প্রভাব পড়ছে ডলারের বাজারে। গতকাল মঙ্গলবার কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে ১১৪ থেকে ১১৫ টাকায়। গত সপ্তাহেও এক ডলারে গুনতে হয়েছিল ১১৮ থেকে ১২০ টাকা।

রাজধানীর মতিঝিল,দিলকুশা ও গুলশান এলাকার একাধিক মানি চেঞ্জারের কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা ডলার ১১২ টাকা ৫০ পয়সায় কিনে ১১৪ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি করছেন। অবশ্য আন্ত ব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হয়েছে ৯৫ টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এই দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে। নিয়ম অনুযায়ী,এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতেও এখন ১০৬ থেকে ১০৮ টাকায় নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে।

ডলারের বাজারে সরবরাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার আন্ত ব্যাংকে (বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে) প্রতি ডলার ৯৫ টাকা দরে মোট ৮০ মিলিয়ন বা আট কোটি মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গুলশানের মানি চেঞ্জারের কর্মকর্তা বলেন,ডলার কেউ বিক্রি করতে এলে ১১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৩ টাকায় কিনছি। আর কেউ নগদ ডলার কিনতে এলে ১১৪ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি করছি। গত দু-তিন দিন ধরে বাজার একই অবস্থায় যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী,আগস্ট মাসের ১১ দিনে দেশে মোট ১৬১ কোটি ডলার সমপরিমাণ মূল্যের আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে,যা জুলাই মাসের তুলনায় ৯৪ কোটি ডলার বা ৩৬ শতাংশ কম। জুলাই মাসে আমদানি হয়েছিল ২৫৫ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে,গেল জুলাই মাসে দেশে মোট ৫৫৫ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে,যা জুন মাসের তুলনায় ৩০.২০ শতাংশ কম। জুন মাসে আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছিল ৭৯৬ কোটি ডলারের। তবে জুন মাসে অবশ্য মে মাসের তুলনায় আমদানি ঋণপত্র ৭ শতাংশ বেশি খোলা হয়েছিল। মে মাসে ঋণপত্র খোলা হয় ৭৪৪ কোটি ডলারের।

দেশের ব্যাংকগুলো যে দামে ডলার কিনবে, তার চেয়ে সর্বোচ্চ এক টাকা বেশি দামে ওই ডলার বিক্রি করতে পারবে। একই সঙ্গে রপ্তানি আয় দ্রুত দেশে এনে তা নগদায়ন করতে হবে।

গত রবিবার অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে বৈঠকে এ নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সভায় বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল করতে ব্যাংকগুলোর জন্য ডলারের ক্রয়-বিক্রয় হারের মধ্যে এক টাকার ব্যবধান বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।



Our Like Page