অপু দাস,সহ-বার্তা সম্পাদকঃ
কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নে গেল সোমবার (১৭এপ্রিল) ইফতারের পূর্বমুহুর্তে রোজিনা বেগম (২৫) নামক এক গৃহবধুকে স্বামী ও শ্বশুড় মিলে অমানবিক নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই ভিডিও তোলপাড় সৃষ্টি করে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর ভাই বাবুল মিয়া সেই ভিডিও দেখতে পেয়ে রাতে বোনের বাড়ি থেকে পুলিশী সহযোগিতায় বোনকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং ৩ জনকে আসামী করে কুলাউড়া থানায় মামলা করেন। পুলিশ নির্যাতনের অভিযোগে গৃহবধুর আসামী আব্দুস ছালাম (৩২) গ্রেফতার করে।
ভুক্তভোগী গৃহবধুর পরিবারের সাথে কথা বললে ভুক্তভোগী নারীর ভাই বাবুল মিয়া চ্যানেল ওয়ান বিডি কে জানায়, কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের সফিক মিয়ার ছেলে আব্দুছ ছালামের সাথে ৪ বছর আগে নির্যাতনের শিকার গৃহবধু রোজিনা আমার বোন বেগমের বিয়ে হয়। তাদের ৩ বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। সোমবার ইফতার তৈরি করা নিয়ে স্বামী আব্দুস ছালাম ও শ্বশুড় শফিক মিয়া অমানবিক নির্যাতন চালান আমার বোন রোজিনা বেগমের উপর।সামাজিক যোগাযোগ মাধমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখে আমি হতবাক, ততক্ষণাৎ আমি পুলিশ নিয়ে তাদের বাড়ি যাই,আমি গিয়ে দেখি তার শ্বশুড় সফিক মিয়া রোজিনাকে মারতে মারতে বাড়ি থেকে টেনে হিচড়ে রাস্তায় নিয়ে ফেলে আসে। ভিডিওটি ফেইসবুকে প্রচার হওয়া মাত্র তোলপাড় শুরু হয়। লাখ লাখ নেটিজেন ঘটনার নিন্দা এবং জড়িতদের গ্রেফতারে স্বোচ্ছার হয়ে উঠেন। আমিও এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ বিচার চাই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখতে পেয়ে গৃহবধু রোজিনা বেগমের ভাই বাবুল মিয়া বোনের বাড়িতে আসেন। পুলিশের সহায়তায় রোজিনা বেগমকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারপর মামলার বাদী ও গৃহবধুর ভাই বাবুল মিয়া জানান, বিয়ের পর থেকে তার বোনের উপর একাধিকবার নির্যাতন চালিয়েছে এরা। ইতিপূর্বে একাধিকবার স্থানীয় লোকজন শালিস করেছেন। তিনি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।