এস,এম,পি সিলেট এর পুলিশ কনস্টেবল কুতুবউদ্দিন ও এস আই মনোজ মিয়ার হামলার শিকার হয়ে গৃহিণী হাসপাতালে নিজস্ব প্রতিবেদক
ভাড়া বাসা ছাড়ার নোটিশকে কেন্দ্র করে সিলেট জেলার কোতোয়ালী থানার অন্তর্গত মুন্সিপাড়া এলাকায় উশৃংখল ও আইন অমান্যকারী পুলিশ কনস্টেবল কুতুবুদ্দিন, এস আই মনোজ মিয়া ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অতর্কিত হামলায় গৃহিণী রুহেলা বেগম (৩৫) রক্তাক্ত গুরুতর জখমে আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে রুহেলা বেগম তার মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে আসার জন্য বাসার পঞ্চম তলা থেকে বের হয়ে দ্বিতীয় তলায় পৌঁছানো মাত্র পূর্বপরিকল্পিত ভাবে এস এম,পি পুলিশ লাইন্সে কর্মরত কনস্টেবল কুতুব উদ্দিন (২৮) ও এস আই মনোজ মিয়া (৫০) এর পরিকল্পনায় ও নিরর্দেশনায় তার স্ত্রী নুরজাহান (৩৭), আয়াজ আলীর ছেলে পুলিশ কনস্টেবল কুতুবউদ্দিন (৩৬) নাদিয়া বেগম (১৮) লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে অতর্কিত এ হামলা চালায়।
এ সময় গৃহিণী রোহেলা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়িভাবে মারধরসহ লোহার রড দিয়ে মাথায়, পিঠে, কোমরে আঘাত করে। গালে কামড় দিয়ে গালের মাংস উঠিয়ে ফেলে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা আহত রোহেলা বেগমকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
গুরুতর আহত রোহেলা বেগম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবল কুতুবুদ্দিন সেখানে উপস্থিত হইয়া তাকে হত্যার জন্য হুমকি প্রদান করেন।
হামলার বিষয়ে আহত রুহেলা বেগম সাংবাদিকদের জানান, আমার বাড়ির ভাড়াটিয়া মনোজ মিয়া ও কুতুবউদ্দিন অত্যন্ত খারাপ আচরণের লোক। তারা উশৃংখল আচরণ করার কারণে আমার প্রবাসী স্বামীর পরামর্শে বাসা ছাড়িয়ে দেওয়ার তাগিদ দিলে তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে আহত করে।
এ সময় আমার সাথে থাকা ১০ হাজার টাকা ও এক ভরি স্বর্ণের চেইন তারা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমি এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
আমি এই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে উপরোক্ত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।