ডেস্ক নিউজ : এম এস খান উরফে শহিদুল্লাহ খান কাউসার নাম কে পরিবর্তন করে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নাম পরিচয় করে থাকেন। কখনও নিজেকে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার লোক পরিচয় দেন,কখনও কলেজ অধ্যক্ষ, কখনও মানবাধিকার তথ্য পর্যবেক্ষণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব দাবি করে। আবার কখনও নিজেকে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল বিএনপির চট্রগ্রাম জেলা কমিটির চেয়ারম্যান দাবি করে। প্রকৃত পক্ষে সে নাম ভাঙিয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের লোকের সাথে যোগাযোগ করে লোকজনকে চাকুরী দিবে বলে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। কে এই প্রতারক? প্রতারকের সন্ধান খুঁজতে গিয়ে জানা যায় সে আসলে যে সময় যার সাথে সুযোগ পায় তার সাথে ছবি তুলে বিভিন্ন প্রভাব শালী মহলের সাথে যোগাযোগ করে এসব অপকর্মে জড়িত।

সে চট্রগ্রাম সিটির বাসিন্দা পরিচয় ভোটার আইডিতে থাকলেও বর্তমানে ঢাকা সিটির শনির আখড়া এলাকায় বসবাস করছে।

বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে নারীদের সাথে যৌন হয়রানি ও নির্যাতন করেন। জানা যায় যে সে নারী কেলেংকারী সাথে জড়িত। চট্রগ্রাম শহরে এক স্ত্রী রেখে ঢাকায় মিলি নামের এক মহিলাকে নিয়ে রাত যাপন করে হোটেলে ধরা খাইলে মিডিয়ার কাছে এসব তথ্য বের হয়ে আসে। সে প্রভাবশালী পরিচয় দিয়ে ৫/৬ জন মহিলাকে নাম মাত্র বউ বানিয়ে রেখেছে।অবৈধ সম্পদ,লোট ও নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন দিয়ে চাঁদা আদায় করে।

নিজেকে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব দাবি করে। মানবাধিকার তথ্য পর্যবেক্ষণ সোসাইটি নামক এক সংগঠনের ভুয়া তথ্য দিয়ে আইডি করে সারা দেশে কমিটি দিচ্ছে। সদস্য আইডি দিয়ে সদস্যদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করতেছে।
প্রকৃত পক্ষে সংগঠনটির তথ্য নিয়ে জানা যায় যে মানবাধিকার তথ্য পর্যবেক্ষণ সোসাইটি একটি মানবাধিকার সংগঠন সেটি ৫/১/২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন সাংবাদিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার একরামুল হক। এবং চেয়ারম্যান দায়িত্ব ছিলেন মাহবুব আলম নামের এক লোক।

করোনাকালীন সময়ে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব খন্দকার একরামুল হক মারা গেলে সে সুযোগে এম এস খান মাতা ছাড়া দিয়ে ওঠে ওতপেতে থাকা তার কুচক্রী মহল গোটা বিপদ গামী সদস্য নিয়ে চক্রান্ত নীলনকশা। সংগঠনের নাম পরিবর্তন ও সংগঠনের সংবিধান পরিবর্তন এসব বিষয়ে।
তার সাথে সংগঠনের কোন জায়গায় কাজের মিল না থাকায় কেন্দ্রীয় কমিটি ঢাকার এক মিটিং থেকে তিন মাস পর্যন্ত তাকে পর্যবেক্ষণ রাখা হয়। তার বিষয়ে গোপনীয় তথ্য নিয়ে জানা যায় সে বিভিন্ন অপকর্মে থাকার প্রমাণ মিলে। তাকে সংগঠনের চেয়ারম্যান এডভোকেট হুমায়ন কবির ও মহাসচিব এডভোকেট আনোয়ারুল হক লিখিত প্রেস বিঙ্গপ্তি দিয়ে ও সাংগঠনিক ভাবে সংগঠনের পরিপন্থী কাজ এর প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

সে বহিস্কৃত হওয়ার পর থেকে সে তার মন গড়া সংগঠন করতে থাকে। মানবাধিকার তথ্য পর্যবেক্ষণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব প্রচার করতে থাকে। এসব ভুয়া তথ্য দিয়ে নিজেকে বড় মানবাধিকার নেতা পরিচয় দিয়ে দেশের ৬৪ জেলায় শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরী করে। মানবাধিকার ও আইনের সহায়তা দিবে বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য প্রশাসন খুজ নিলে সব পেয়ে যাবে। সংগঠন এর লগো ও নাম পরিবর্তন করে বিভিন্ন ফেইসবুক আইডি থেকে লোকজন কে ফুসলিয়ে ভুয়া প্যাড নাম সিল ব্যবহার করে লোকজনের সাথে প্রতারনা করে যাচ্ছে।

চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিটির নামে প্রিয়া আক্তার মুক্তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সাংগঠনিক প্রমান রয়েছে। এছাড়াও পাহাড়ী এলাকায় কমিটি দেওয়ার নাম বলে প্রতারণা করে যাচ্ছে।
সাংগঠনিক ভাবে তার বিরোদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্হা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান সংগঠনের সাংগঠনিক সচিব এনামুল ইসলাম তালুকদার। একজন মানবিক পুলিশ অফিসার কে হেয় প্রতিপন্ন করে ফেইসবুক এ সংগঠনের ভুয়া আইডি খুলে প্রচারণা চালায়। একজন মানবিক পুলিশের সম্মান নষ্ট করে পুলিশ বাহিনী কে মান ক্ষুন্ন করে পাবলিক কথা বলে এমন ফেইসবুক আইডি MTv অনলাইন টিভি ও মাতপস ওয়ার্ল্ড নামে আইডি থেকে মিথ্যা প্রচারণা করতেছে। মানবিক পুলিশ অফিসার এনামুল ইসলাম বলেন গত করোনাকালীন সময়ে আমার কাছ থেকে ৫০ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিবে বলে সহযোগিতা চায়। আমি তাকে পাঁচ হাজার টকা দিয়ে সহযোগিতা করি। সংগঠনের সাথে মতের অমিল হলে সে আমার নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মিডিয়ায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে। তাকে আইনের আওতায় আনতে কেউ সন্ধান দিলে তাকে অর্থ দিয়ে সম্মাননা দেওয়া হবে। সংগঠনের পক্ষ থেকেও তার বিরোদ্ধে আইনী ব্যবস্হা গ্রহন করা হয়েছে।

ঢাকা সিটির ও চট্রগ্রাম এর জনতার প্রতি ও প্রশাসন গোয়েন্দা বিভাগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাকে আইনের আওতায় তুলে দিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।