শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে নাগরপুর উপজেলা বিএনপি’র সাংবাদিক সম্মেলন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী নাগরপুরে শহীদ ক্যাডেট স্কুলে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নাগরপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ “জনতার সময়” অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক হলেন কাজী মোস্তফা রুমি ডুমুরিয়ায় ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে সি‌লেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ড‌শীপ ফাউ‌ন্ডেশনের মে‌ডি‌কেল ক্যাম্প অনু‌ষ্ঠিত জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী ৭ জন আইওআই(IOI) তে বাংলাদেশের প্রথম স্বর্ণ পদক লাভ করেছেন সিলেটের দেবজ্যোতি দাস সৌম্য

এক যুগ পালিয়ে থাকার পর স্ত্রী-সন্তান হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

চ্যানেল ওয়ান বিডি ডেক্সঃ

মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও তিন বছরের মেয়ে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র‍্যাব। জাকিরকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংস্থাটি। সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৪-এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বলেন,গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার অদূরে সাভারের শাহিবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এক যুগ ধরে পলাতক ছিলেন।

র‍্যাব জানায়,২০০৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নিপা আক্তার ও ৩ বছর বয়সী মেয়ে জ্যোতি আক্তারকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন জাকির। স্ত্রী-সন্তান খুন করে তিনি পালিয়ে যান। পরে ধরা পড়েন। ২০১০ সালে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে যান। পলাতক জাকিরকে গত বছরের সেপ্টেম্বরে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

র‍্যাবের ভাষ্য,জাকির বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেন। এই সময় তিনি একাধিকবার পেশা পরিবর্তন করেন। তিনি গার্মেন্ট,স্পাইরাল বাইন্ডিং ও ঝুটের ব্যবসা করেন। একপর্যায়ে তিনি ছদ্মবেশ নিয়ে বাউল গানের দলের সঙ্গে ঘুরে বেড়ান। ২০১৩ সালে তিনি আবার বিয়ে করেন। এই সংসারে তাঁর দুই মেয়েসন্তান আছে।

হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে র‍্যাব জানায়,২০০০ সালে জাকিরের সঙ্গে নিপার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক নিয়েছিলেন জাকির। বিয়ের পর আরও যৌতুকের জন্য নিপাকে নির্যাতন করেন জাকির। বিয়ের দুই বছর পর তাঁদের কন্যাসন্তান হয়। ২০০৫ সালে নিপা আবার অন্তঃসত্ত্বা হন। এ সময় তিনি জানতে পারেন,অপর এক নারীর সঙ্গে জাকিরের সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কলহ হয়। এই কলহের জেরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করেন জাকির।



Our Like Page