চ্যানেল ওয়ান বিডি ডেক্স::
সারা দেশের ন্যায় গতকাল বৃহস্পতিবার আরও ২১ হাজার ঘর হস্তান্তর করা হয়। তাই গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া ঘর পঞ্চগড় সদর উপজেলার কাজলদিঘী পাড়ের বাসিন্দা জান্নাতের পিতা রবিউল ইসলামও পান। ভূমিহীনদের মাঝে ঘর হস্তান্তর করার এক ফাকেঁ উপহার পাওয়া মানুষের অভিব্যক্তি জানতে চাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় ভক্ত জান্নাতের কথা জানতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
জান্নাতের কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী জান্নাতের খুজ করে বলেন,আমি আমার জান্নাতের সঙ্গে কথা বলবো কোথায় সে? পরে প্রধানমন্ত্রী জান্নাতের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তার খুজঁ খবর নেন ও কথা বলেন।
এসময় জান্নাত বলেন,আমি কাজলদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করি। আমার ঘরে আপনার ছবি আছে। আমি প্রত্যেকদিন সকালে আপনার ছবি নিজে পরিষ্কার করি। তারপর পড়তে বসি। আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি,পছন্দ করি। আপনার দেওয়া ঘরে আমরা থাকতেসি,পড়াশুনা করতেসি। আমি বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চাই,গরিব অসহায় মানুষের সেবা করতে চাই। গরিব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই,বাবা,মার মুখে হাসি ফোটাতে চাই। আমার জন্য দোয়া করবেন। এসময় জান্নাত প্রধানমন্ত্রীকে পঞ্চগড়ে আসার অনুরোধ জানিয়ে বলেন,আপনাকে শুধু টিভিতে,ছবিতে দেখি।সামনাসামনি কখনো দেখিনি।আপনি পঞ্চগড়ে আসলে আমরা খুশি হব।
প্রধানমন্ত্রী জান্নাতের কথা শুনে বলেন,খুব খুশি হলাম জান্নাত তোমার সঙ্গে কথা বলে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জান্নাতকে বলেন নিশ্চয়ই পঞ্চগড়ে আসব এবং তোমার সাথেও দেখা করবো।প্রধানমন্ত্রী জান্নাতকে মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে ও অসহায় মানুষকে অবশ্যই সাহায্য করতে বলেন।
জান্নাতুন নাহার জান্নাত পঞ্চগড় সদর উপজেলার কাজলদিঘী পাড়ের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের কন্যা।
যানা যায়,তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পোস্টার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি কেটে তা নিজের পড়ার টেবিলে সাজিয়ে রেখেছে। এলাকায় তাকে সবাই শেখ হাসিনার জান্নাত নামে ডাকেন ।