আলীজা বিনতে আশরাফ, স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলন করে তাকে খাটো করতে গিয়ে দেশটাকে কোথায় টেনে নামানো হলো, সেটা একবারও চিন্তা করলো না তারা। এদের মধ্যে যদি এটুকু দেশপ্রেম থাকতো, দায়িত্ববোধ থাকতো তাহলে এমনটা করতো না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সোমবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় গণভবনে সাম্প্রতিক সহিংসতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহত এবং নির্যাতিত মেয়েদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরও প্রতিদিন বোমা হামলা, গুলি, লাশ, সেশনজট ছিল। শিক্ষা কারিকুলাম থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা যে রিফর্ম আনি, এতে আমাদের ডিগ্রিগুলো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয়েছে।’
চলমান আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের ফসল হলো আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা, মানুষের যে মৌলিক চাহিদাগুলো- তাদের উন্নত জীবন দিতাম; সেটাকে নষ্ট করা। এই আন্দোলনের ঘাড়ে চেপেই জামায়াত-শিবির ও বিএনপির সন্ত্রাসীরা সুযোগ পেয়ে গেল। আমার প্রশ্ন, অপরাধটা কী করলাম? মানুষের জীবনমান উন্নত করা, খাদ্যের ব্যবস্থা করা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা কি অপরাধ?’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমার মা-বাবা সবাইকে হত্যা করা হয়েছে, এরপরও সেই কষ্ট বুকে নিয়ে আমি এসে শুধু দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেছি। মানুষ একটু ভালো থাকবে, উন্নত জীবন পাবে সেই চিন্তাই করেছি। আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। বিজয়ের জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি, সম্মানের সঙ্গে চলতে পারি; সেই সম্মানটা তো আমিই এনে দিয়েছি বাংলাদেশকে। এটা তো কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।’
‘আজকে যেখানে যাবে- বাংলাদেশ শুনলে সমীহ করে এবং মর্যাদার চোখে দেখে। কিন্তু আন্দোলন করে আর আমাকে খাটো করতে গিয়ে দেশটাকে কোথায় টেনে নামিয়েছে, সেটা একবারও তারা চিন্তা করলো না। এদের মধ্যে যদি এটুকু দেশপ্রেম থাকতো, দায়িত্ববোধ থাকতো তাহলে এমনটা করতো না’ যোগ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে দেশটাকে আমি দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে সম্মানের জায়গায় নিয়ে এসেছিলাম, সে অবস্থান নষ্ট করে দিলো। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুঃখের।